বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

অছাত্র ও অভিযুক্তদের হাতেই জাবি ছাত্রদলের নেতৃত্ব

অছাত্র ও অভিযুক্তদের হাতেই জাবি ছাত্রদলের নেতৃত্ব

শহিদুল্লাহ মনসুর, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ২০০৯-১০ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ২০১০-১১ সেশনের বিভাগের ওয়াসিম আহমেদ অনিক। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

তবে কমিটির নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের অধিকাংশর ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে প্রায় ৭ থেকে ১০ বছর আগে। তাছাড়া অতীতে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তরাও আছেন এ কমিটিতে, যা বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, অছাত্রদের নেতৃত্বে ছাত্ররাজনীতির গুণগত মান হ্রাস পেতে পারে এবং ক্যাম্পাসে অপকর্মের মাত্রা বাড়তে পারে।

এছাড়া, আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের বিরুদ্ধে অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং জামাত-শিবিরকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইসুল রুবাইকে ছাত্রদলে পুনর্বাসন করেছেন বাবর। এছাড়াও শামীম মোল্লার হত্যার আসামী ইংরেজী বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমানকে তার গ্রুপে নিয়ে কাজ করছেন। হামিদুল্লাহ সালমানের বাবা বর্তমানে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমীরের দায়িত্বে আছেন৷ দল ভারী করতে এসকল কর্মীদের দলে ভিড়িয়েছেন বলে জানা যায়।

নব্য এ কমিটিতে সদস্য পদ পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান ও নাছির উদ্দীন মিয়ার সাথে অতীতে ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠতার ছিলো বলে জানা যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন মোস্তাফিজুর রহমান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “যাকে বিকল্প মনে করতেছেন সে আরও বড় ডাকাতিনি।” অন্যদিকে নাছির উদ্দীন মিয়ার সাথে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেলের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি পাওয়া যায়।

এই পরিস্থিতিতে, জাবির শিক্ষার্থীরা চান যে ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব বর্তমান শিক্ষার্থীদের হাতেই থাকা উচিত, যাতে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে এবং অপকর্মের মাত্রা কমে। তাদের মতে, অছাত্রদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে হলের সিট দখল, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদের আস্ফালন, মাদক ব্যবসা, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদির মাত্রা বাড়তে পারে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |